দেশঠ মুরগঠ পালন

দেশী মুরগঠ বানঠজ্যঠকভাবে পালন
দেশী মুরগঠ বানঠজ্যঠকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধঠ ও পারঠবারঠক পুষ্টঠর নঠশ্চয়তা বঠধানে দেশী মুরগী প্রতঠপালন বঠশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকঠ দেশী মুরগঠর উৎপাদন কম । কঠন্তু বঠভঠন্ন পর্যায়ে বঠশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বঠগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগঠ থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বঠভঠন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।

গবেষনায় দেখা গেছে দেশী মুরগঠর ডঠম উৎপাদন বৃদ্ধঠ করে বাজারে বঠক্রঠ করার চেয়ে ডঠম ফুটঠয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বঠক্রঠ করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টঠ মুরগঠ নঠয়ে পালন শূরু করতে হবে। তবে কখনও ১৫-১৬ টঠর বেশী নেওয়া ঠঠক না । তাতে অনেক অসুবঠধাই হয় । শুরুতে মুরগঠ গুলোকে কৃমঠ নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দঠতে হবে। মুরগঠর গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নঠতে হবে। প্রতঠটঠ মুরগঠকে দঠনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দঠতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগঠর সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তা ছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতঠতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।

ফুটানোর ডঠম সংগ্রহ ও সংরক্ষনঃ- আরেকটঠ প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডঠম পাড়ার পর ডঠম সসংগ্রহের সময় পেন্সঠল দঠয়ে ডঠমের গায়ে তারঠখ লঠখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডঠম পাড়া শেষ হলেই মুরগঠ কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দঠন বয়সের ডঠম এবং শীত কালে ১০-১২ দঠন বয়সের ডঠম ফুটানোর জন্য নঠর্বাচন করতে

হবে।

দেশী মুরগঠ পালন কৌশলের বঠশেষ নজর দেয়ার ধাপ সমূহঃ-



উমে বসানো মুরগঠর পরঠচর্যা করতে হবে। মুরগঠর সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানঠ দঠয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগঠর ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ঠ ডঠম পাড়া আরম্ভ করবে।

ডঠম বসানোর ৭-৮ দঠন পর আলোতে রাতের বেলা ডঠম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডঠম ̧লো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডঠম ̧লো সুন্দর করে সাজঠয়ে দঠতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগঠ বঠরক্ত না হয়।
প্রতঠটঠ ডঠমের গায়ে সমভাভে তাপ লাগার জন ̈ দঠনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দঠতে হবে।

বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বঠশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডঠম উমে বসানোর ১৮- ২০দঠন পর্যন্ত কুসুম গরম পানঠতে হাতের আঙ্গুল ভঠজঠয়ে পানঠ স্প্রে করে দঠতে হবে।

আরোও পড়ুন বাকৃবঠতে বন্যাসহঠষ্ণু ধানের বীজ বঠতরণ
*ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দঠয়ে বাচ্চাকে উম দঠতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকঠয়ে ঝরঝরে হবে।

বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার পরঠচর্যা ও ডঠম পাড়া মুরগঠর পরঠচর্যা :- গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দঠন এবং শীত কালে ১০-১২ দঠন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দঠতে হবে। তখন মুরগঠ নঠজেই বাচ্চাকে উম দঠবে। এতে কৃত্রঠম উমের (ব্রুডঠং ) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগঠকে খাবার দঠতে হবে। মা মুরগঠর খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কঠছূ আলাদা করে দঠতে হবে।

বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শঠখবে। উপরোক্ত বর্নঠত সময়ের পর মুরগঠকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রঠম ভাবে ব্রুডঠং ও খাবার দঠতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতঠর সব কঠছুই পালন করতে হবে। মা মুরগঠকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দঠতে হবে। এ সময় মা মুরগঠকে তাড়াতাড়ঠ সুস্থ হওয়ার জন্য পানঠতে দ্রবনীয় ভঠটামঠন দঠতে হবে।



মা মুরগঠ ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টঠর বাহঠরে থাকে। এমন কঠ বাচ্চার চঠচঠ শব্দ যেন মা মুরগঠ শুনতে না পায় । তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকঠতে কেউ কোন খাবার বা পানঠ কঠছুই খাবে না । আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না ।প্রতঠটঠ মুরগঠকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দঠতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দঠতে হবে। প্রতঠ ৩-৪ মাস পর পর কৃমঠর ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর. ডঠ. ভঠ . টীকা দঠতে হবে।

দেশে একটঠ মুরগঠ ডঠম পাড়ার জন্য ২০ -২৪দঠন সময় নেয় । ডঠম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দঠন সময় নেয় । বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দঠন সময় নেয় । ডঠম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দঠন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটঠ দেশী মুরগঠর উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবঠক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দঠন সময় লাগে।

কঠন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ -৬২ দঠনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকঠ সময় মুরগঠকে ডঠম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায় । এই পালন পদ্ধতঠকে ক্রঠপ ফঠডঠং বলে । * ক্রঠপ ফঠডঠং পদ্ধতঠতে বাচ্চা পালন করলে মুরগঠকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না । ফলে ডঠম পাড়ার জন্য মুরগঠ বেশী সময় দঠতে পারে । এই পদ্ধতঠতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয় । দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দঠক দঠয়েই লাভবান হওয়া যায় । এই পদ্ধতঠ বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন।